গবাদিপশু, পোল্ট্রি, মৎস্য ও চিংড়ি চাষে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হলে খাদ্যে ব্যবহার করা হবে এমন কতিপয় দ্রব্যের প্রোটিন, ফ্যাট ও আঁশ সম্পর্কীয় তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের প্রোটিন, ফ্যাট ও আঁশ বিষয়ক তথ্য প্রদান করা হল। তথ্যগুলো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী এন.বি. নিউ, অন্যান্য বিজ্ঞানী,আমার লিখা বই ও নিজস্ব জ্ঞান থেকে লিখা হয়েছে ।
খাদ্য তৈরীর উপদান ও পুষ্টিগুণ
চাউলের গুড়াঃ প্রোটিন- ১০.২০ %, ফ্যাট- ১.৯০%, আঁশ- ১.৪০ %।
ভুট্টাঃ প্রোটিন -১২%, ফ্যাট- ৪.৫০%, আঁশ- ২.৮০%।
চীনাবাদামের খৈলঃ প্রোটিন -৪৪ থেকে ৪৮%, ফ্যাট- ৫.৮৭%, আঁশ- ৫.০১%।
চাউলের কুড়াঃ প্রোটিন -১৪ থেকে ১৫ %, ফ্যাট- ১৫.২০%, আঁশ- ১২.৭০%।
ডিওআরবি(DORB): প্রোটিন -১৫ থেকে ১৬%, ফ্যাট- ১.৩০%, আঁশ- ২১.৮০%।
গমের ভুষিঃ প্রোটিন -১৫ থেকে ১৭ %, ফ্যাট-৩-৫%, আঁশ- ৩৬-৫২%।
সয়াবিনের খৈলঃ প্রোটিন -৪৭ থেকে ৫৪%, ফ্যাট- ১.২০%, আঁশ- ৫.৩০%।
তিলের খৈলঃ প্রোটিন -৫১%, ফ্যাট- ১.৩০%, আঁশ- ৬.৮%।
সরিষার খৈলঃ প্রোটিন- হলুদ সরিষা- ২৮%, কালচে সরিষা- ৩৮%।
তুলা বীজের খৈলঃ প্রোটিন -৪৫.৪০%, ফ্যাট- ১.৩০%, আঁশ- ১৪.৫০%
ইপিল ইপিল গাছের পাতা চুর্ণঃ প্রোটিন -১৮.৯০%, ফ্যাট- ২.৮০%, আঁশ- ২৪.৬০%।
মৎস্য চুর্ণ বা ফিস মীলঃ প্রোটিন -৫৭ থেকে ৭২%, ফ্যাট- ৮.৫০%, আঁশ- ২.১০%।
হাসমুরগীর পালক চুর্ণঃ প্রোটিন -৯১.৭০%, ফ্যাট- ৩.২০%, আঁশ- ১.৩০%।
চিংড়ির মাথা ও কাঁকড়া চুর্ণঃ প্রোটিন -৪৯.৯০%, ফ্যাট- ৩.৩০%, আঁশ- ১২.৫০%।
যে কোন প্রকার ডালঃ প্রোটিন -২৪.৫৯%, ফ্যাট- ৮.৫২%, আঁশ- ১১.৪৬%।
ইষ্টঃ প্রোটিন -৫১.৫০%, ফ্যাট- ২.৬০%, আঁশ- ২.৫০%।
প্রাণির হাড় চুর্ণঃ প্রোটিন -১১.৫০%, ফ্যাট- ৯.৪০%, আঁশ- ১.৭০%।
খাদ্য তৈরীর কিছু উপকরণ
গবাদি পশু-পাখির খাদ্য তৈরিকে প্রধানত দানাশস্য ও এদের উপজাত ব্যবহার করা হয়। দানাশস্য হিসাবে প্রধানত গম, ভুট্টা ও ভুসি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বসতবাড়িতে পারিবারিক মুরগি পালনে যে কোনো শস্যদানা যেমন, ধান, চাল, খুদ, ডাল, সরিষা ইত্যাদি পাখিকে খেতে দেওয়া হয়। খাদ্য উপকরণের পুষ্টিমান, প্রাপ্যতা ও বাজারদর বিবেচনা করে রেশন তৈরির জন্য নির্বাচন করতে হবে।
খাদ্য উপকরণের একটি তালিকা
নিম্নে পুষ্টি উপাদানের বিষয় বিবেচনায় রেখে খাদ্য উপকরণের একটি তালিকা দেওয়া হলো।
পুষ্টি উপাদান | খাদ্য উপকরণ |
---|---|
শর্করা | গম, ভুট্টা, ধান, চাল, চালের কুড়াঁ, গমের ভুসি ইত্যাদি। |
আমিষ | শুঁটকি মাছের গুঁড়া, তিলের খৈল, সরিষার খৈল, সয়াবিন মিল রক্তের গুঁড়া ইত্যাদি। |
স্নেহ | বিভিন্ন উদ্ভিজ তৈল যেমন : পাম তৈল, তিলের তৈল, সয়াবিন তৈল ইত্যাদি। |
খনিজ পদার্থ | খাদ্য লবণ, ঝিনুক খোসা চূর্ণ, হাঁড়ের গুঁড়া ডিমের খোসা, চুনা পাথর ইত্যাদি |
ভিটামিন | শাক-সবজি, ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স ইত্যাদি। |
পানি | পরিষ্কার বিশুদ্ধ জীবাণুমুক্ত পানীয় জল। |